অন্যান্য
ক্রিকেট খেলার সাথে আমাদের আত্মার সম্পর্ক।ক্রিকেট খেলা দেখে আমরা কখনো হাসি, আবার কখনো বা অশ্রুসিক্ত হই। ২০১২ সালে বাংলাদেশে যখন মাত্র দুই রানের ব্যবধানে এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে পরাজিত হয় ; সেদিন অনেক কেঁদেছিলাম। আবার যখন ১০৮ রানের বিশাল ব্যবধানে ইংল্যান্ডের মতো দলকে টেষ্টে হারায়, তখন আনন্দে আত্মহারা হই।
বাংলাদেশের খেলা ছাড়া অন্য কোন দলের খেলা তেমন দেখা হয় না। কিন্তু সাকিব-মুস্তাফিজ যখন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) এর মতো আসরে খেলে তখন অন্যরকম এক অনুভূতি কাজ। শত কাজ রেখেও তাদের খেলা দেখি। কোন দল জিতল বা হারলো বড় কথা নয়; বরং সাকিব কত রান করল কিংবা মুস্তাফিজ কয়টা উইকেট নিল সেদিকে নজর থাকে। এবারের আইপিএল-এ তারা নেই, তাই কোনো ম্যাচই তেমনভাবে দেখা হয়নি। তবে সন্ধ্যায় যখন বাজারে যাই কিছু মানুষের আনাগোনা কানে আসে। আজকে কোন দল জিতবে, কোন খেলোয়াড় কত রান নিবে ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি অমুক দলে অত টাকা ধরছি, সে তমুক দলের পক্ষে অত ধরছে এই ধরনের ধরনের কথাবার্তা চলে। বলছিলাম আইপিএল বাজি ধরার কথা। কোন বলে কি হবে? ছয় নাকি চার! কোন ওভারে কত রান নিবে? কোন দল জিতবে? এগুলো নিয়ে চলে হাজার-হাজার টাকার জুয়া! খেলা হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে কিন্তু জুয়া চলে আমাদের দেশের শহর থেকে শুরু করে গ্রামের অলিগলিতে!
৩ নভেম্বর ‘আইপিএল জুয়া, বাজিতে হেরে গিয়ে যুবকের মৃত্যু’ শিরোনামে খবর প্রকাশ করে ‘দৈনিক কালের কণ্ঠ’। এই জুয়াকে কেন্দ্র করে হানাহানি-মারামারি এমনকি ছিনতাইয়ের মতো ঘটনাও ঘটে অহরহ। এতে করে বাড়ছে কিশোর অপরাধ। বাজির টাকা হেরে অনেকে নিঃস্ব হয়। যদি এভাবেই খেলার নামে জুয়া চলতে থাকে তবে, সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে, তরুণদের কিছু অংশ টাকার জন্য অন্ধকার জগতে পা বাড়াবে। এসব জুয়া বন্ধে পরিবারকে যেমন সচেতন হতে হবে, তেমনিভাবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা চাই, খেলার নামে জুয়া বন্ধ হোক।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ঢাকা টেলিগ্রাফ এর দায়ভার নেবে না।