বিমানবন্দর থেকে শুরু চ্যাম্পিয়নদের শোভাযাত্রা

আগের সংবাদ

তারেক রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হাইকোর্টে বাতিল

পরের সংবাদ

ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বন্ধ

ঢাকা টেলিগ্রাফ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২৪ , ৬:০২ অপরাহ্ণ

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে বন্ধ হলো রাজধানীর বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম। তবে কলেজটি বন্ধ হবে কি-না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তদন্ত কমিটি করবে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ। অধিদপ্তর বলছে, হাসপাতালটিতে নানা অনিয়ম পাওয়া গেছে।

গত ৩১ ডিসেম্বর বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনা করা হয় ৫ বছরের শিশু আয়ানের। এর ৮ দিন পর মারা যায় সে।

তদন্তে দেখা যায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই চলছিল হাসপাতালটি। এর পর রোববার রাতে সেটি বন্ধের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সোমবার সেই চিঠি পেয়ে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে বলে জানালো কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতালটির ম্যানেজার আরিফুল হক বলেন, ‘আমরা আবেদন করেছিলাম ইউনাইটেড হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস লিমিটেড নামে। এই নামের বিষয়টিই ত্রুটি, আমাদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরামর্শ দিয়েছে এই নামটা ঠিক করতে হবে। সেই পরামর্শ মোতাবেক আমরা আবার আবেদন করবো এবং নিয়মানুসারেই আবার ফিরে আসব।’

নিয়ম অনুযায়ী, হাসপাতালটিতে ২৫০টি বেড এবং ১৭৫ জন রোগী ভর্তি থাকার কথা থাকলেও সোমবার একজন রোগীও ছিল না। এছাড়া নানা অনিয়ম পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. মঈনুল আহসান বলেন, ‘ওদের যে ফ্যাসিলিটিজগুলো ছিল, ওটি ওয়ার্ড এগুলো একটি বেসমেন্টে বিল্ডিংয়ের। আমার কাছে এটা অস্বাস্থ্যকর মনে হয়েছে। পরিদর্শনের সময় ওখানে কোনো রোগী বা চেম্বারে কোনো পেসেন্ট কিন্তু আমরা পাইনি।’

হাসপাতাল বন্ধ হলেও, মেডিকেল কলেজটি চালু থাকবে কি-না সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক টিটো মিয়া বলেন, ‘যদি হাসপাতালটি পার্মানেন্টলি বন্ধ হয়ে যায় সেক্ষেত্রে শিক্ষা কার্যক্রমের জন্যও আমরা প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত করব। তারা যে বন্ধ করে দিয়েছেন এটা যদি সাময়িক হয় সেক্ষেত্রে অবশ্যই আমরা ইন্সপেকশন করব এবং বিবেচনা করব।’

রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুল এলাকায় ২০১৯ সালে চালু হয় ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ঢাকা টেলিগ্রাফ এর দায়ভার নেবে না।