এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান গ্রেফতার

আগের সংবাদ

আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ব্রাজিলের ‘হেক্সা’ জয়

পরের সংবাদ

কিডনি রোগ থেকে প্রতিকার পাবার উপায়!

ঢাকা টেলিগ্রাফ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪ , ১১:০৯ অপরাহ্ণ

কিডনি মানবদেহের মূল অঙ্গগুলোর একটি। সুস্থ দেহের জন্য ও বেঁচে থাকার জন্য এটি অপরিহার্য অঙ্গ। কিডনি প্রধানত রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ, অতিরিক্ত পানি এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক পদার্থ শোধন করে। রক্তের পটেনশিয়াল অব হাইড্রোজেন ব্যালান্স (পিএইচ) বজায় রাখতেও কিডনি কার্যকরী ভুমিকা পালন করে, যা সুস্থ থাকার জন্য খুব জরুরি। এছাড়া কিডনির অন্যতম প্রধান কাজ হলো লবণ ও পটাশিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা, হরমোন তৈরি করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা, লাল রক্ত কোষের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করা, এবং ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করা।

এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, বাংলাদেশে ঘণ্টায় পাঁচজনের বেশি মানুষ মারা যান কিডনি বিকল হয়ে, আর দুই কোটিরও বেশি মানুষ কোন না কোনভাবে আক্রান্ত হয়ে আছেন কিডনি রোগে। অনেকেরই জানা নেই কিডনি রোগ প্রতিরোধ করার উপায়। সাধারণত ৭০ থেকে ৮০ ভাগ কিডনির কর্মক্ষমতা নষ্ট হওয়ার আগে কিডনি বিকল হওয়ার উপসর্গ বোঝা যায় না বলে প্রতিরোধ করা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না।

প্রস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া, ঘন ঘন প্রস্রাব, প্রস্রাব লাল হওয়া, প্রস্রাবে দুর্গন্ধ, কোমরের দুই পাশে ও তলপেটে প্রচণ্ড ব্যথা, শরীর-মুখ ফোলা ইত্যাদি লক্ষণ কিডনি রোগের সংকেত বহন করে। কয়েক মাস বা বছর চিকিৎসার পরও কিডনি রোগ ভালো না হলে এবং কিডনির কার্যক্ষমতা কমতে থাকলে সেটাকে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ বলে। ৮০ ভাগ লোকের কিডনি নষ্ট হয় ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও নেফ্রাইটিস (কিডনির বিভিন্ন সমস্যা)- এই তিন রোগের কারণে।

কিডনি রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। সবার পক্ষে এই চিকিৎসা ব্যয় পরিচালনা সম্ভব হয় না। তবে সচেতন থাকলে ৫০ থেকে ৬০ ভাগ ক্ষেত্রে কিডনি বিকল প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে মত দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এই আর্টিকেলে আমরা চেষ্টা করেছি কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকারের মতো বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে। এতে কিডনি রোগের লক্ষণ দেখা দিলে আপনি দ্রুতই সঠিক চিকিৎসা শুরু করতে পারবেন।

কিডনির রোগ কী কী?
সাধারণত কিডনি রোগকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়- * আকস্মিক কিডনি বৈকল্য (একিউট কিডনি ইনজুরি) এবং * দীর্ঘস্থায়ী কিডনির রোগ (ক্রনিক কিডনি ডিজিজ)। হঠাৎ করে কিডনিকে যেটা আক্রান্ত করে, তা একিউট কিডনি ইনজুরি। অপরদিকে, ধীরে ধীরে এবং দীর্ঘসময়ে কিডনি তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারাতে থাকলে, সেটা ক্রনিক কিডনি ডিজিজ।

চিকিৎসকদের মতে, সচেতন থাকলে এবং সঠিক সময়ে শনাক্ত করা গেলে এই দুটোই নিরাময় করা সম্ভব। আবার অন্যভাবে বললে আরো দুই রকম ভাগে কিডনি রোগকে ভাগ করা যায়- *মেডিক্যাল ও *সার্জিক্যাল। মেডিক্যাল কিডনি রোগের চিকিৎসা সাধারণত নেফ্রোলজিস্টরা ঔষধের মাধ্যমে করেন। তবে কিডনি বিকল রোগীদের ডায়ালিসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হতে পারে। এদের মধ্যে আছে কিডনি ফেইলিওর, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস থেকে কিডনির অসুখ, নেফ্রোটিক সিন্ড্রোম, প্রস্রাবের সংক্রমণ রোগ ইত্যাদি।

অন্যদিকে, ইউরোলজিস্টরা অপারেশন, এন্ডোস্কোপি ও লিথোট্রিপসির প্রয়োগ করে যেই চিকিৎসা করেন, সেগুলো সার্জিক্যাল কিডনি রোগ। মূত্রনালিকাতে পাথর, প্রস্টেটের রোগ, মূত্রনালিকাতে জন্মগত অসুখ, মুত্রনালিকার/রেনাল ক্যান্সার ও কিডনি প্রতিস্থাপন এসব রোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।

কিডনি রোগের লক্ষণ সমূহ
কিডনি রোগের সমস্যা হলো, প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন কোনো লক্ষণই প্রকাশ পায় না। কিডনির কার্য ক্ষমতা কমতে থাকলে, ধীরে ধীরে লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে থাকে।

কিডনি রোগের প্রধান উপসর্গগুলো-
১) প্রস্রাব কম/বেশি হওয়া ও প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া

২) প্রস্রাবের সময় ব্যথা বা জ্বালাপোড়া হওয়া

৩) ওজন কমে যাওয়া

৪) শরীরের বিভিন্ন অংশে (হাত, পা, মুখ) পানি জমে ফুলে যাওয়া

৫) মনোযোগ কমে যাওয়া

৬) শরীরে ক্লান্তিভাব আসা

৭) সবসময় শীত শীত লাগা

৮) মাঝে মাঝেই মাথাব্যথা হওয়া

৯) শরীরের বিভিন্ন অংশে চুলকানি বা র‍্যাশ হওয়া

১০) বমি বমি ভাব হওয়া

কিডনি রোগের ঝুঁকির কারণ
নানা কারণে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত বা স্থায়ীভাবে বিকল হয়। গবেষণায় জানা গেছে, প্রায় ১০-৩০ শতাংশ বা আরো বেশি নেফ্রাইটিসের কারণে, ২০-৩০ শতাংশ ডায়াবেটিসের কারণে এবং ১০-২০ শতাংশ কিডনি বিকল হয় উচ্চ রক্তচাপের কারণে। এছাড়া বংশগত কারণে, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাল সংক্রমণে, কিডনিতে পাথর হলে, অস্বাস্থ্যকর ডায়েটে এবং ঔষধের প্রভাবেও কিডনিজনিত রোগ হতে পারে। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপকে বর্তমানে কিডনি রোগের প্রধান ঝুঁকির কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। হার্ট ও মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহে ব্যাঘাত, হঠাৎ কিডনি অকেজো হওয়া, স্থুলতা এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগের কারণেও কিডনি রোগ হয়। এছাড়া ধূমপায়ী এবং ষাটোর্ধ্ব বয়সীদের কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

কিডনি রোগের প্রতিকার
একিউট কিডনি রোগের ক্ষেত্রে কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা নিতে হবে। চিকিৎসকরা সাধারণত প্রথমেই রোগ নির্ণয় করার জন্য রোগীর রক্তের ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন এবং ইলেকট্রোলাইটসহ অন্যান্য পরীক্ষা দিয়ে থাকেন। যদি ডায়রিয়া এবং বমির জন্য রোগীর একিউট কিডনি রোগ হয়ে থাকে এবং শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়, তখন স্যালাইন ও পটাশিয়াম দিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয়। এরপর রক্তচাপ কম থাকলে সেটা স্বাভাবিক করার ব্যবস্থা করা হয়। এগুলো করলে রোগী পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে যায়। তার জন্য অবশ্যই তাকে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

সঠিক সময়ে শনাক্ত না হওয়ার কারনে ক্রনিক কিডনি ডিজিজ আরও খারাপের দিকে অগ্রসর হয়ে কিডনি ফেইলিউরের দিকে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় এবং স্টেজিং এর দিক থেকে এটি শেষ পর্যায়ের কিডনি/রেনাল ডিজিজ হিসেবে চিহ্নিত হয় এবং এক্ষেত্রে ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপনের মতো ব্যয়বহুল চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে।

দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগীদের হার্ট এট্যাক, স্ট্রোকসহ মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়ে অকালে মৃত্যুর ঝুঁকিও থাকে। ক্রনিক কিডনি ডিজিজ যদি শুরুর দিকে শনাক্ত করা যায় এবং যথাযথ চিকিৎসা নেওয়া হয়, তাহলে কিডনির কার্যক্ষমতা আরো খারাপ হওয়ার গতিকে ধীর করে দেয় বা কিছু ক্ষেত্রে রোগী প্রায় সুস্থ হয়ে যান এবং যে ঝুঁকিগুলোর কথা ইতোমধ্যে বলা হয়েছে, সেগুলোর মাত্রা কমিয়ে দেয়। এছাড়া একজন কিডনি রোগীকে অবশ্যই ফলোআপের জন্য প্রতি তিন থেকে ছয় মাস পর পর বা চিকিৎসক যেভাবে বলেন, সেই সময়মতো চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিতে হবে।

কিডনি রোগ প্রতিরোধে করণীয়
কিডনি রোগের অন্যতম ঝুঁকির কারণ ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ। একটু সচেতন থাকলেই দীর্ঘমেয়াদী কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

কিডনি রোগ প্রতিরোধে করণীয়-
১) ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ থাকলে নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

২) নিয়মিত হাঁটুন বা শারীরিক পরিশ্রম করুন

৩) শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলুন

৪) ধূমপানের অভ্যাস থাকলে ত্যাগ করুন

৫) খাবার পাতে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন

৬) রক্তে কোলেস্টেরল স্বাভাবিক মাত্রায় রাখুন

৭) প্রতিদিন বেশি পরিমাণে শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস করুন

৮) কিডনি রোগ থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ফলমূল খাবেন না

৯) কিডনি রোগ থাকলে ডাক্তারের পরামর্শে নিয়মিত ঔষধ খাবেন

১০) কিডনির সমস্যায় নিয়মিত রুটিন চেকআপ করানো আবশ্যক।

কিডনির সমস্যা বোঝার উপায়
অজান্তেই ভেতরে ভেতরে সব শেষ করে দেয় বলে কিডনির সমস্যাকে ‘নীরব ঘাতক’ বলা হয়। কিডনির সমস্যা দেখা দিলে শরীরে আরো বেশ কিছু রোগের প্রকোপ বাড়ে। এগুলোর ফলে স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার পাশাপাশি প্রাণহানিও ঘটতে পারে। যেসব উপসর্গ দেখলে কিডনির সমস্যা বোঝা যাবে, সেগুলো জেনে রাখা খুব জরুরি।

৭ টি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণেই ধারনা করা যাবে আপনার শরীরে কিডনি রোগ বাসা বেঁধেছে কি না!

লক্ষণগুলো হলো-

১) বারবার মূত্রত্যাগ, মূত্রের সঙ্গে রক্ত বের হওয়া বা মূত্রে অতিরিক্ত ফেনা হওয়া

২) পিঠের নিচের অংশে ব্যথা হওয়া

৩) ত্বকে চুলকানি ও র‍্যাশ হওয়া

৪) গরম আবহাওয়ার মধ্যে শীত অনুভূত হওয়া

৫) শ্বাসকষ্ট হওয়া

৬) মুখ, চোখের চারপাশ ও পায়ের গোড়ালি ফুলে যাওয়া

৭) খাবারে অরুচি ও মুখে দুর্গন্ধ হওয়া।

বিভিন্ন কারণে কিডনির কার্যকারিতা কমে গেলে একজন মানুষ নানাবিধ শারীরিক জটিলতার মুখে পড়েন। এ রোগের লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়গুলো জানা থাকলে অনেক সময় সুস্থ জীবন যাপন করা সম্ভব। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলাফেরা, জীবনযাপন এবং খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনলে জটিলতা অনেকক্ষেত্রেই এড়ানো যায়।

কিডনি সমস্যার প্রথম লক্ষণ কী?
প্রস্রাবে পরিবর্তন হওয়া কিডনি রোগের একটি বড় লক্ষণ। এ সময় প্রস্রাব কম বা বেশি হয়। প্রস্রাবের রংও গাঢ় হয়ে যায়। রাতের বেলা ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। অনেক সময় প্রস্রাবের বেগ অনুভব হলেও প্রস্রাব হয় না।

কিডনি ফেইলিওর এর লক্ষণ কী কী?
কিডনি ফেইলিওরের সাধারণ লক্ষণগুলো হচ্ছে- হঠাৎ করে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া, রোগীর শরীর ফুলে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়, ক্ষুধা কমে যায়, বারবার বমি করা, খিঁচুনি হওয়া। এছাড়া কেউ কেউ অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। আবার কোনো কোনো রোগীর হৃদযন্ত্রের সমস্যা হতে পারে।

যাদের ডায়রিয়া, রক্তক্ষরণ ও গর্ভকালীন জটিলতা থেকে সাংঘাতিক কোনো ইনফেকশনের জন্য কিডনি ফেইলিওর হয়েছে, তাদের জ্বর থাকতে পারে। অনেকের আবার জন্ডিস দেখা দিতে পারে। কারো কারো শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে। যাদের কিডনি ফেইলিওর কোনো সাংঘাতিক ধরনের নেফ্রাইটিসের কারণে হয়েছে, তাদের মধ্যে নেফ্রাইটিসের লক্ষণ প্রকাশ পাবে। এদের অনেকের প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যেতে পারে।

বেশি পানি খেলে কি কিডনি ভালো থাকে?
অনেকের ধারণা, প্রচুর পানি পান করলেই কিডনি সুস্থ থাকে। তবে চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা বলেন, খালি পেটে পানি খেলে তা দ্রুত রক্তে শোষিত হয়। ফলে রক্তের সোডিয়ামের ঘনত্ব কমে যেতে পারে। এভাবে খালি পেটে অতিরিক্ত (যেমন এক জগ) পানি খেলে রোগীর বমি বা খিঁচুনি হতে পারে, মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। এভাবে পানি না খেয়ে সারা দিনে বিরতি দিয়ে দিয়ে অল্প অল্প করে পর্যাপ্ত পানি খাওয়া ভালো।

কিডনির পরিস্রাবণ হার কম হওয়ার কারণ?
কিডনির স্বাভাবিক পরিস্রাবণ হারের একটি রেঞ্জ বা সীমা আছে, এটি নারী পুরুষ বা বয়সের সাথে কিছুটা ভিন্ন হয়ে থাকে। আপনার কিডনি রোগ আছে কিনা তা জানতে আপনার ডাক্তার GFR বা পরিস্রাবণের হার পর্যালোচনা করে থাকেন, অবশ্যই অন্যান্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা সহ রোগ নিশ্চিত করা হয়। পরিস্রাবণের হার স্বাভাবিক সীমা থেকে কমে গেলে তা কিডনির সমস্যা হিসেবে দেখা হয় এবং এটির মাত্রা অনুযায়ী (কতটা কমেছে স্বাভাবিক থেকে) বুঝা যায় কিডনি রোগ প্রাথমিক অবস্থায় আছে নাকি অগ্রসর।

আনুমানিক জিএফআর কী?
ইজিএফআর (আনুমানিক গ্লোমেরুলার পরিস্রাবণ হার) হলো সিরাম ক্রিয়েটিনিন এর মাধ্যমে জিএফআরের গণনা করা মান। ইজিএফআরের মূল বিষয় হলো এটি সূত্র ব্যবহার করে একক রক্ত ​​পরীক্ষার ফলাফলের মাধ্যমে পরিমাপ করা যায়।

আমার জিএফআর ৫১ হলে আমার কি চিন্তা করা উচিত?
এক্ষেত্রে আপনার বয়স, আপনি পুরুষ নাকি মহিলা, আপনি এই পরীক্ষা আগেও করেছিলেন কিনা, সর্বশেষ কখন করেছেন, আপনার অন্যান্য কোন পরীক্ষা করেছেন কিনা, করে থাকলে স্কল কিছুর রিপোর্ট সহ দেখে এবং আপনার শারীরিক অবস্থা, উপসর্গ বিবেচনা করে আপনার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যাবে। তবে আপনার অবশ্যই একজন নেফ্রোলজিস্টের সাথে পরামর্শ করা জরুরী কেননা এটি স্বাভাবিক মাত্রা থেকে কম আছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ঢাকা টেলিগ্রাফ এর দায়ভার নেবে না।