অন্যান্য
ইমাম ও মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব
হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ ইমাম জিম্মাদার আর মুয়াজ্জিন আমানতদার। হে আল্লাহ, ইমামদেরকে সৎ বানাও এবং মুয়াজ্জিনদেরকে ক্ষমা কর। (আবু দাউদ)
ইমামকে যামিন বা যিম্মাদার বলার তাৎপর্য এই যে, ইমাম জনগণের নামাযের জন্য দায়ী। সে যদি সৎ ও ন্যায়পরায়ণ না হয়, তাহলে সবার নামায নষ্ট করে দেবে।
এ জন্য রাসূল (সা) দোয়া করেন যে, হে আল্লাহ, ইমামদেরকে নেকার ও সৎ বানাও। মুয়াজ্জিনের আমানতদার হবার অর্থ হলো, লোকেরা তাদের নামাযের বিষয়টা তার হাতে সমর্পণ করেছে। তার দায়িত্ব সময় মত আযান দেয়া, যাতে লোকেরা আযান শুনে নামাযের প্রস্তুতি নিতে পারে এবং ধীরে সুস্থে জামায়াতে শরীক হতে পারে। সময় মত আযান দেয়া না হলে আশংকা থাকে যে, বহু লোক জামায়াত থেকে হয় বঞ্চিতই হয়ে যাবে, নতুবা দুই এক রাকায়াত ছুটে যাবে।
এ হাদীসে একদিকে তো ইমাম ও মুয়াজ্জিনদেরকে তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করে তুলছে। অপরদিকে মুসলমানদেরকে আদেশ দেয়া হচ্ছে যেন সৎ ও পরহেজগার লোক দেখে ইমাম নিয়োগ করে এবং দায়িত্ব সচেতন লোক দেখে মুয়াজ্জিন নিয়োগ করে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ঢাকা টেলিগ্রাফ এর দায়ভার নেবে না।