শেয়ার দর বাড়ার শীর্ষে উঠে এসেছে বিডিকম

আগের সংবাদ

ভারতের পার্লামেন্ট ও রাজ্যসভায় নারীদের এক-তৃতীয়াংশ আসন নিশ্চিত

পরের সংবাদ

প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল অস্ট্রেলিয়া

admin

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২১ , ৩:৪১ অপরাহ্ণ

নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল অস্ট্রেলিয়া। এর আগে বৈশ্বিক আসরে পাঁচটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও দুটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতলেও এতদিন এই ট্রফিটি অধরা ছিল। অবশেষে কিউইদের ৮ উইকেট হারিয়ে সেই স্বাদ পেল দলটি।

রবিবার (১৪ নভেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করা নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ১৭২ রান। যা ছিল বিশ্বকাপ ফাইনালে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড। শিরোপা জেতার পথে নতুন রেকর্ড গড়ে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৮.৫ ওভারেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

অস্ট্রেলিয়া ১৭৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামলে কখনোই মনে হয়নি কিউই বোলিং আক্রমণে তাদের রুখে দিতে পারবে। অথচ ম্যাচের আগে অজিদের ব্যাটিং লাইন আপের সঙ্গে কিউই বোলিংয়ের জমজমাট লড়াইয়েরই আলোচনা ছিল।

তৃতীয় ওভারে অ্যারন ফিঞ্চের উইকেট নেওয়া গেলেও ডেভিড ওয়ার্নার-মিচেল মার্শের ৯২ রানের জুটিটি ছিল অপ্রতিরোধ্য। মারকুটে ব্যাটিংয়ের মেজাজটা ধরে রেখে দুজনেই দলকে এগিয়ে নিয়েছেন। বোল্ট ৩৮ বলে ৫৩ রান করা ওয়ার্নারকে বোল্ড করলেও অস্ট্রেলিয়া ততক্ষণে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ প্রায় নিয়ে নিয়েছে। নিয়ন্ত্রণ আরও পোক্ত হয়েছে মার্শের মারমুখী ব্যাটিংয়ে। রান রেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়েই ৭ বল থাকতে জয় নিশ্চিত হয় অস্ট্রেলিয়ার। সঙ্গী ম্যাক্সওয়েল ১৩ বলে ২৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। তবে ম্যাচ জেতানো মার্শ ৫০ বলে খেলেছেন ৭৭ রানের হার না মানা ইনিংস। তাতে ছিল ৬টি চার ও ৪টি ছয়। মার্শ-ম্যাক্সওয়েল জুটিতে যোগ হয় ৬৬ রান। নিউজিল্যান্ডের হয়ে দুটি উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট।

অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয়বার ফাইনাল খেললেও নিউজিল্যান্ড খেলেছে প্রথমবার। তাই টস হারলেও দাঁড় করায় চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহটা। ৪ উইকেটে করে ১৭২ রান। দুবাইয়ে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় অস্ট্রেলিয়া। অবশ্য এই টস হেরে যাওয়াকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছিল না, যখন ড্যারিল মিচেল ও মার্টিন গাপটিল মেরে খেলার চেষ্টায় ছিলেন। এই রানের গতি কমে যায় হ্যাজেলউড মিচেলকে সাজঘরে ফেরালে।

তৃতীয় ওভারে আবার আক্রমণাত্মক গাপটিলকেও ফেরানোর সুযোগ ছিল। কিন্তু ম্যাক্সওয়েলের ঘূর্ণিতে তার ব্যাটে লাগা বল ম্যাথু ওয়েড নিতে পারেননি। অথচ এই গাপটিলই কিউই অধিনায়ক উইলিয়ামসনকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ৪৮ রানের জুটি! জীবন পাওয়া গাপটিল অবশ্য ৩৫ বলে ২৮ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে অজিরা সবচেয়ে বেশি আফসোস করার কথা উইলিয়ামসনকে নিয়েই।

১১তম ওভারে কেন উইলিয়ামসনকে ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ ছিল। তখন কিউই অধিনায়ক ব্যাট করছিলেন ২০ রানে। কিন্তু স্টার্কের বলে ফাইন লেগে তার ক্যাচ ফেলে দেন জশ হ্যাজেলউড। হাত ফসকে গিয়ে পরে সেটি চারও হয়েছে! দ্বিতীয় জীবন পাওয়া উইলিয়ামসন পুরো ইনিংসে কর্তৃত্ব করেছেন তার পর। অজি বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে ১৩তম ওভারে পূরণ করেন ৩২বলের হাফসেঞ্চুরি। সঙ্গী গ্লেন ফিলিপস ১৭ বলে ১৮ রানের বেশি অবদান রাখতে পারেননি। কিন্তু ফাইনালে জ্বলে উঠা কিউই অধিনায়কই রান-চাকা এগিয়ে নেওয়ার মূল দায়িত্ব পালন করেছেন। তার ৪৮ বলে করা সর্বোচ্চ ৮৫ রানের ইনিংসে ভর করেই নিউজিল্যান্ড পায় ১৭২ রান। কেনের ইনিংসে ছিল ১০টি চার ও ৩টি ছয়। শেষ দিকে নিশামের ৭ বলে ১৩ ও সেইফার্টের ৬ বলে ৮ রান স্কোরবোর্ড বাড়তে ভূমিকা রেখেছে।

জাক/পা আ

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ঢাকা টেলিগ্রাফ এর দায়ভার নেবে না।