অন্যান্য
গালাগালি সত্ত্বেও ব্যবস্থা না নেয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের রোহিঙ্গারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কাছে ১৫ হাজার কোটি ডলার দাবি করেছে। প্ল্যাটফর্মটিতে দীর্ঘদিন ধরে তাদের নিয়ে বিভিন্ন উসকানি ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ছড়িয়ে আসছেন ব্যবহারকারীরা। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) সংস্থাটির বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের মামলা করে রোহিঙ্গারা এ দাবি করেন।
এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানায়নি ফেসবুক। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন অঙ্গরাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর সামরিক বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত গণহত্যার পর আনুমানিক ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে। তখন থেকে ফেসবুকে তাদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত উসকানি ছড়াতে থাকেন ব্যবহারকারীরা। খবর বিবিসির।
মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক রোহিঙ্গাদের সংগঠন বার্মিজ রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশন (ব্রুক)-এর সভাপতি তুন খিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গণহত্যার শিকার হওয়া রোহিঙ্গাদের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের দুটি আইনি সেবা প্রতিষ্ঠান গতকাল সমন্বিত আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আমিও এর সঙ্গে আছি।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ফেসবুক অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য উসকানিমূলক ভিডিও, সহিংসতা এবং অপপ্রচারের ভিডিও ও তথ্য সংবলিত পেজগুলোকে ব্যবহারকারীদের দেখতে উৎসাহিত করেছে। এতে ঘৃণ্য অপপ্রচার আরও বেড়েছে এবং তা গণহত্যায় উসকানি হিসেবে কাজ করেছে।
তুন খিন বলেন, ফেসবুককে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। প্রভাবশালী এই বৈশ্বিক কম্পানি মানবাধিকারের চেয়ে তাদের মুনাফাকেই বড় করে দেখেছে।
আর্জেন্টিনার আদালত সম্প্রতি রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারের পক্ষে রায় দিয়েছেন। ব্রুক সভাপতি তুন খিন বলেছেন, তারা আর্জেন্টিনার আদালতে মামলা চালানোর পাশাপাশি রোহিঙ্গা নিধনে উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ঢাকা টেলিগ্রাফ এর দায়ভার নেবে না।