এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান গ্রেফতার

আগের সংবাদ

আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ব্রাজিলের ‘হেক্সা’ জয়

পরের সংবাদ

রাবিতে ছাত্রলীগের দুপক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ

ঢাকা টেলিগ্রাফ

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২৩ , ৯:১৫ অপরাহ্ণ

রাবিতে ছাত্রলীগের দুপক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ। ক্যান্টিনের চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হলে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। তাৎক্ষণিক সমস্যার সমাধান হলেও এদিন সন্ধ্যায় পুনরায় সংঘর্ষে জড়ায় তারা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে মতিহার হলের ক্যান্টিনে খাওয়ার জন্য একটি সিটে বসেন জাহিদ হাসান নামে এক শিক্ষার্থী। এর কিছুক্ষণ পর শান্ত নামে এক ছেলে এসে জাহিদকে উঠতে বলেন এবং তিনি ওই সিটে আগে বসেছিলেন বলে দাবি করেন। জাহিদ তাকে অন্য সিটে বসতে বললে তর্কাতর্কি শুরু হয়।

পরে জাহিদ তার বন্ধু রিফাতের কক্ষে অবস্থান নিলে শান্ত কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীকে নিয়ে এসে কক্ষের দরজায় লাথি মারতে থাকে। বিষয়টি মীমাংসার কথা বলে আরও কয়েকজন কর্মীকে নিয়ে কক্ষে প্রবেশ করে তাদের দুজনকে মারধর করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সাহা ও তার অনুসারীরা।

মারধরের শিকার জাহিদ ও রিফাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সাকিবুল হাসান বাকির অনুসারী। অপরদিকে শান্ত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা হিল গালিবের অনুসারী।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পাশে ভাস্কর সাহাকে মারধর করেন সাকিবুল ইসলাম বাকির অনুসারীরা। ঘটনা শোনার পর বিকেল ৫টার দিকে পরিবহন মার্কেটে আসলে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা বাকিকে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করেন। এতে আহত হয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা।

এ বিষয়ে মারধরের শিকার সাকিবুল হাসান বাকি বলেন, হলে আমার অনুসারীদের মারধর করা হয়েছে এমন কথা শুনে আমি ক্যাম্পাসের পরিবহন মার্কেটে আসি। এসময় আমার কয়েকজন অনুসারীও সঙ্গে ছিল। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমিসহ আমার ৮-১০ জন কর্মী আহত হই।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা হিল গালিবকে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

রাবি প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, আমরা ছাত্রলীগের দুই পক্ষকেই ডেকে বিষয়টি শুনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তবে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সজাগ রয়েছে প্রক্টোরিয়ার টিম।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ঢাকা টেলিগ্রাফ এর দায়ভার নেবে না।