অন্যান্য
কোরবানির জন্য ২৩ লাখ পশু বাড়তি রয়েছে উল্লেখ্য করে আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মিঠা পানির মাছ আহরণে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে উন্নীত হওয়া উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ।
বাজারে এখন কোরবানির গরুর যে দাম চাওয়া যাচ্ছে, তাতে প্রতি কেজির দাম এক হাজার টাকা পড়ে যাচ্ছে। তাহলে কোরবানির পশু বাড়তি থেকে লাভ কী- এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুর রহমান বলেন, ‘এই পরিসংখ্যান আপনি কোথায় পেলেন?’
তখন ওই সাংবাদিক বলেন, যারা বিক্রি করছেন এবং যারা কিনছেন, তারা জানাচ্ছেন। এ সময় প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি এতো ডিটেইলসে গেলেন কী পরীক্ষায় বা কীভাবে আপনি জানতে পারলেন?’
এর পরিপ্রেক্ষিতে আরেকজন সাংবাদিক বলেন, লাইভওয়েটে সাড়ে ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। একটা গরুর প্রায় ৬০ শতাংশ বাদ যায়। সে হিসাবে যদি আপনি দাম ধরেন কেজি এক হাজার টাকার ওপরে চলে যায়।
এর উত্তরে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘বাজারে যেকোনো পণ্যের দাম নির্ধারিত হয় চাহিদা এবং সরবরাহের ওপর। আমার দায়িত্ব হলো প্রয়োজনের তুলনায় সেই সরবরাহ আছে কি-না তা দেখা। আমি তো পরিসংখ্যান দিলাম। আরও ২৩ লাখ পশু বাড়তি আছে, উদ্বৃত্ত আছে।’
আব্দুর রহমান বলেন, ‘আজকে হয়তো কেউ নানাভাবে গরুর দাম বাড়াতে পারে। চড়া দাম হাঁকাতে পারে। কিন্তু দিন শেষে ওদের ‘মাথায় হাত’ পড়বে। কারণ গরু যোগান তো আমার আছে।’ তিনি জানান, যারা কৌশলে বা নানা ছলচাতুরির মাধ্যমে দাম হাঁকাচ্ছে, ওদের ‘মাথায় হাত’ পড়তে বাধ্য।
দাম নির্ধারণ করার দায়িত্ব মন্ত্রীর নয় জানিয়ে আব্দুর রহমান আরও বলেন, ‘দাম নির্ধারণ করবে বাজার। সাধারণ অর্থনীতির সংজ্ঞায় সরবরাহ ও চাহিদার যদি সমন্বয় থাকে সে ক্ষেত্রে বাজারই বাজারমূল্য নির্ধারণ করে।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ঢাকা টেলিগ্রাফ এর দায়ভার নেবে না।