অন্যান্য
উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৮ নং ওয়ার্ড
ঢাকা রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ শেরেবাংলা নগর থানার নিকস্থ ২৮ নং ওয়ার্ডে রয়েছে বিভিন্ন সরকারি অফিস-হাসপাতাল-স্কুল-কলেজ। পশ্চিম আগারগাঁও এলাকার কেন্দ্রিয় মসজিদ মুখি ষাট ফুট রাস্তা। যা আমলির টেক মোড় থেকে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা। এলাকাবাসীর অভিযোগ এ রাস্তাটি অবৈধভাবে দখল করে রাখা হয়েছে।
এলাকাবাসীর সর্ব সাধারনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে দেখা যায় চলাচলের রাস্তাটি বিভিন্ন ধরনের ইট, বালুর বস্তা, টিন ভাঙ্গা দিয়ে রাস্তাটি ব্লক করে রাখা আছে।
অথচ, ৯৫২৫ ও ৯৫২৬ এবং ৯৭৫৭ খতিয়ান অনুযায়ী ঢাকা জিলার কাফরুল মৌজার জে এল নং ০৬, সীট নং ৩০ এ এই তিনটি খতিয়ান পাকা রাস্তা হিসাবে চিহ্নিত আছে। এলাকার বসবাসরত জনগণ ও মসজিদের নিয়মিত মুসল্লিগণ এই সরকারী পাকা রাস্তা ব্যবহার করেন, কিন্তু বেশ কিছুদিন যাবৎ বিগত পতিত সরকারের প্রভাবশালী বলে পরিচিত ব্যক্তি ও একটি জমি দখলকারী হাউজিং কোম্পানী প্রকাশ্য দিবালোকে সরকারের বৈধ পাকা রাস্তা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে। তারা নির্মাণ সামগ্রী রেখে ও দোকান স্থাপন করে এই পাকা রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে, ইচ্ছেমতো খোড়াখুড়ি করেছে এবং দেয়াল তুলে অবৈধ দখল করেছে।
এতে এলাকাবাসীর যাতায়াত ও মুসল্লিগণের কেন্দ্রিয় মসজিদে প্রবেশে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত এই সরকারী পাকা রাস্তা ব্যবহারকারী মুসল্লি ও সাধারণ জনগণ অসুবিধার মুখোমুখি হচ্ছেন। বিশেষ করে বর্ষার সময়ে বৃষ্টিতে উক্ত সড়ক প্রায় পুরোটাই এই অবৈধ দখলদারদের দখলে ছিল এবং জলাবদ্ধতায় এই সড়কে প্রতিদিনই নানা দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই পাকা রাস্তার বিকল্প একটি চিকন গলি রয়েছে যা রেস্তোরার বিপদজনক গ্যাস সিলিণ্ডার রেখে বেদখল করা হয়েছে এবং ময়লা আবর্জনা, বর্জ্য ও এসির পানি ফেলার কারণে এই গলি দিয়ে মুসল্লিগণ মসজিদে প্রবেশে নানা সমস্যায় পরছেন। ফলে দুটো পথই ব্যবহার অনুপযোগী ও অবৈধ বেদখল হয়ে আছে।
সর্ব সাধারণ এবং সরকারী পাকা রাস্তা ব্যবহারকারী এলাকাবাসীর ক্ষোভ বেড়েই চলছে। পতিত জালেম সরকারের আর্শিবাদপুষ্ট ডিএনসিসির এক শ্রেণীর দুর্নীতি পরায়ন ও অসাধু কর্মকর্তার অসাধুতার সুযোগে সরকারী বৈধ জমিতে নির্মিত রাস্তা অবৈধ দখলের কারনে জনগণ ব্যবহার করতে পারছেন না বলেও অভিযোগ করেন মহল্লাবাসী।
গত (৪ নভেম্বর-২৪) কাওরান বাজারে অবস্থিত কাওরান বাজার আড়ৎ, অঞ্চল-৫, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব) মোতাকাব্বীর আহমেদ কে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত দরখাস্ত আবদেন করা হয়। নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) নুরুল আলম কেও অবহিত করা হয়।
সরকারী রাস্তা অবৈধভাবে দখল-স্থাপনা নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইলে এলাকাবাসীকে মোতাকাব্বীর আহমেদ বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ঢাকা টেলিগ্রাফ এর দায়ভার নেবে না।