অন্যান্য
রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ তিন ব্যক্তির সাথে আল্লাহ তায়ালা কেয়ামতের দিন কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেন না এবং তাদেরকে পাক পবিত্র করে বেহেশতে প্রবেশ করাবেন না। উপরন্তু তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দেবেন।
আবু যর বললেনঃ যে ব্যক্তি অহংকার ও দাম্ভিকতা বশত টাখনুর নীচে কাপড় পরিধান করে, যে ব্যক্তি কারো উপকার করে খোটা দেয় এবং যে ব্যক্তি মিথ্যে কসম খেয়ে নিজের বাণিজ্যিক পণ্যের বিক্রি বৃদ্ধি করে। (মুসলিম, আবু যর গিফারী(রা) থেকে বর্ণিত)
আল্লাহ তায়ালার কথা না বলা ও না তাকানোর অর্থ হলো আল্লাহ তার ওপর রুষ্ট ও অসন্তুষ্ট হবেন এবং তার সাথে স্নেহ ও মমতার সাথে আচরণ করবেন না। একজন সাধারণ মানুষও যার ওপর অসন্তুষ্ট হয় তার দিকে তাকায় না এবং তার সাথে কথাও বলে না।
পরিধেয় পোশাককে টাখনুর নীচে ঝুলিয়ে রাখার বিরুদ্ধে উচ্চারিত এই হুমকি সেই ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যে, অহংকার দাম্ভিকতার বশে এটা করে। যে ব্যক্তি টাখনুর নীচে পোশাক পরে বটে, তবে সে অহংকারী ও দাম্ভিক নয়, তার এ কাজও গুনাহ। কেননা রাসুল (সা) মুসলমানদেরকে টাখনুর নীচে পোশাক পরতে সর্বতোভাবে নিষেধ করেছেন।
সুতরাং এ ব্যক্তিও গুনাহগার যদিও তার গুনাহ অহংকারীর তুলনায় কিছুটা হালকা। অবশ্য মুমিন কোন গুনাহকেই হালকা মনে করে না। একজন অনুগত গোলামের কাছে মনিবের সামান্যতম অসন্তোষও অত্যন্ত ভয়ংকর মনে হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ঢাকা টেলিগ্রাফ এর দায়ভার নেবে না।